October 26, 2024, 6:33 am
তামান্না আক্তার হাসিঃ র্যাব-৪ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে। গত ০৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ ভিকটিমের পিতা র্যাব-৪ এর নিকট লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন যে, কতিপয় দুষ্কৃতিকারী লোক তার ছেলে রাশিদুস সাবরু নিলয় (২৪)’কে আটক রেখে নির্যাতন করে মুঠোফোনের মাধ্যমে ছবি পাঠিয়ে নগদ ০৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ রাতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা মহানগরীর দক্ষিন খান থানাধীন ফায়দাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিম’কে উদ্ধারপূর্বক অপহরণকারী চক্রের মূলহোতাসহ নিম্নোক্ত ০৫ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো:
আতিয়া ইসলাম টিনা @ নীলা (২২), জেলা- বরিশাল।রবিন মাহমুদ (২২), জেলা-ঢাকা।আসিফ আহমেদ (২০), জেলা-ঢাকা।শারমিন (২৬), জেলা-ঢাকা।জাকির হোসেন (২৪), জেলা-লক্ষীপুর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম রাশিদুস সাবরু নিলয় (২৪) ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন রেডিও কলোনি এলাকার বাসিন্দা। অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা আতিয়া ইসলাম এর সাথে ভিকটিমের ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের ২/৩ মাস পর যখন ভিকটিমের ঠিকানা পরিবর্তন করে তখন থেকে আর তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ ছিলো না। গত ২৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি আতিয়া ইসলাম @ নীলা ভিকটিমের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুনরায় কুশলাদি বিনিময়ের এক পর্যায়ে ভিকটিমের সাথে দেখা করতে চায় এবং নিজ বাসায় দাওয়াতের নামে এনে অন্যান্য আসামীদের সহযোগে আটকে রেখে শারীরিকভানে নির্যাতন শুরু করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতার কাছ থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে অন্যথায় ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভিকটিমের পিতা কোন উপায়ন্তর না পেয়ে র্যাব-৪ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ০৫/০৪/২০২৩ তারিখ রাতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা মহানগরীর দক্ষিন খান থানাধীন ফায়দাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিম’কে উদ্ধারপূর্বক অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা আতিয়া ইসলাম টিনা @ নীলা’সহ ০৫ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।